সূরাঃ ৯৭/ আল-কাদর | Al-Qadr | سورة القدر #quran #shorts

সূরাঃ ৯৭/ আল-কাদর | Al-Qadr | سورة القدر #quran #shorts

সূরাঃ ৯৭/ আল-কাদর | Al-Qadr | سورة القدر সূরা সম্পর্কেঃ কদরের এক অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। কেউ কেউ এ-স্থলে এ অর্থই নিয়েছেন। এর মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে ‘লাইলাতুল-কদর’ তথা মহিমান্বিত রাত বলা হয়। কদরের আরেক অর্থ তাকদীর এবং আদেশও হয়ে থাকে। এ রাত্ৰিতে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত ও বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাগণের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিযিক, বৃষ্টি ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাগণকে লিখে দেয়া হয়। [সা’দী] পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, (فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ) [সূরা আদ-দোখান: ৪] এ আয়াতে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, পবিত্র রাত্ৰে তাকদীর সংক্রান্ত সব ফয়সালা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রাত্ৰিতে তাকদীর সংক্রান্ত বিষয়াদি নিম্পন্ন হওয়ার অর্থ এ বছর যেসব বিষয় প্রয়োগ করা হবে, সেগুলো লওহে মাহফুয থেকে নকল করে ফেরেশতাগণের কাছে সোপর্দ করা। নতুবা আসল বিধি-লিপি আদিকালেই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। [ইমাম নববী: শারহু সহীহ মুসলিম, ৮/৫৭] আহসানুল বায়ান সূরা আল-কদর [1] (মক্কায় অবতীর্ণ) [1] এই সূরার মাক্কী বা মাদানী হওয়ার ব্যাপারে উলামাগণের মাঝে মতভেদ আছে। যেমন তার নাম করণেও মতভেদ রয়ে গেছে। قَدْر শব্দের অর্থ হল কদর ও মর্যাদা। এই জন্য শবেকদরের রাতকে لَيلَة القَدْر বলা হয়। এর অর্থ অনুমান ও ফায়সালা করাও হয়ে থাকে। এ রাতে পূর্ণ এক বছরের ফায়সালা করা হয়। এ জন্য একে لَيلَة الحُكم ও বলা হয়। এর মানে সংকীর্ণতাও হয়ে থাকে। যেহেতু এ রাতে পৃথিবীতে এত বেশী ফিরিশতা অবতরণ করেন যে, পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়। সেহেতু ‘শবেকদর’ অর্থাৎ, সংকীর্ণতার রাত্রি। অথবা এই জন্য এর নাম ‘শবেকদর’ রাখা হয়েছে যে, এই রাতে যে ইবাদত করা হয় আল্লাহর নিকট তা খুবই কদর ও মর্যাদাপূর্ণ এবং তাতে বৃহৎ সওয়াবও আছে।  এই রাত নির্ধারণ করার ব্যাপারেও বিরাট মতভেদ রয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর) তবে হাদীসসমূহ থেকে প্রমাণ হয় যে, রমযান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রির মধ্যে কোন এক রাত্রি ‘শবেকদর’। এ রাতকে গোপন রাখার রহস্য এই যে, যাতে লোকেরা তা অর্জন করার উদ্দেশ্যে এই ৫টি বিজোড় রাতেই আল্লাহর অধিকাধিক ইবাদতে মগ্ন হয়। সূত্র: https://www.hadithbd.com/quran/tafsir...