| | নবজাতকের জন্ডিস | | Neonatal Jaundice

| | নবজাতকের জন্ডিস | | Neonatal Jaundice

| | নবজাতকের জন্ডিস | | Neonatal Jaundice নবজাতকের জন্ডিস (Neonatal Jaundice) হল এক সাধারণ অবস্থা, যেখানে শিশুর ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এটি রক্তে বিলিরুবিন (bilirubin) নামক পদার্থের অতিরিক্ত পরিমাণ জমার ফলে ঘটে। জন্ডিসের কারণ 🔸 স্বাভাবিক জন্ডিস (Physiological Jaundice): বেশিরভাগ নবজাতকের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক, যা সাধারণত জন্মের ২-৪ দিনের মধ্যে দেখা যায় এবং ৭-১০ দিনের মধ্যে কমে যায়। 🔸 মায়ের দুধজনিত জন্ডিস (Breastfeeding Jaundice): মায়ের দুধ কম খাওয়ার কারণে হতে পারে। 🔸 মায়ের দুধ সংশ্লিষ্ট জন্ডিস (Breast Milk Jaundice): মায়ের দুধে কিছু উপাদান বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। 🔸 রক্তের গ্রুপের অমিল (ABO বা Rh incompatibility): যদি মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপের অমিল থাকে, তবে অতিরিক্ত বিলিরুবিন তৈরি হতে পারে। 🔸 প্রিম্যাচিউর (অকালপ্রসূ) শিশু: অকালে জন্ম নেয়া শিশুর লিভার পুরোপুরি উন্নত না হওয়ায় বিলিরুবিন প্রসেস করতে পারে না। জন্ডিসের লক্ষণ ✔ শিশুর ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হওয়া ✔ বেশি ঘুমানো বা দুর্বলতা ✔ বুকের দুধ কম খাওয়া বা খেতে না চাওয়া ✔ মল ও প্রসাবের রঙ পরিবর্তন কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে? ⚠️ যদি শিশুর জন্ডিস ২ সপ্তাহের বেশি থাকে ⚠️ যদি শিশু খুব বেশি দুর্বল বা খেতে না চায় ⚠️ যদি জন্ডিস শরীরের নিচের অংশে ছড়িয়ে পড়ে ⚠️ যদি শিশুর মল সাদা বা প্রসাব গাঢ় হলুদ হয় চিকিৎসা ও প্রতিকার ✅ প্রচুর দুধ পান করানো: বুকের দুধ শিশুর শরীর থেকে বিলিরুবিন বের করতে সাহায্য করে। ✅ ফোটোথেরাপি (Phototherapy): বিশেষ নীল আলো ব্যবহার করে শিশুর শরীরে অতিরিক্ত বিলিরুবিন কমানো হয়। ✅ এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন: যদি বিলিরুবিনের মাত্রা খুব বেশি হয়, তবে রক্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। ✅ সূর্যের আলো: সকালে হালকা রোদে ১০-১৫ মিনিট রাখলে উপকার হতে পারে (তবে অতিরিক্ত গরমে নয়)। শেষ কথা নবজাতকের জন্ডিস সাধারণত ক্ষতিকর নয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে কমে যায়। তবে অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার নবজাতকের জন্ডিস নিয়ে যদি কোনো উদ্বেগ থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ❤️